![]() |
Author: Dhiman Halder |
লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ঋণ খেলাপের মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পন মামলার
শুনানিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। মজার বিষয় হল, মাল্যের আইনজীবী ভারতের
বিচারবিভাগ ও পুলিশবিভাগকে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে। দুঁদে আইনজীবীর
এই মন্তব্য চাপে ফেলে দিয়েছে ভারতের আইন-শাসন বিভাগকে । বলা হয়ে থাকে আইনের চোখে
সবাই সমান বা আইন অন্ধ। বাস্তবে জেলের মধ্যে ভিআইপি বা ভিভিআইপি বন্দোবস্ত নিয়ে
খবর মিডিয়ার দৌলতে কারও আর অজানা নয়। আসলে আমাদের দেশে যেমন আইন আছে, তেমনই আইনের
ফাঁকও বিস্তর। জেলে গিয়ে কোনও বন্দি ইচ্ছেমতন সুবিধে কেন পাবে ? যেন মনে হয় যত বড়
অভিযোগে অভিযুক্ত তত বেশি ভালো বন্দোবস্ত।
মাল্যের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, এদেশের বেশিরভাগ জেলে নাকি অনেক অনেক বেশি
কয়েদী রয়েছে আর সেখানকার স্বাস্থ্যবিধিও নাকি জঘন্য। ৬১ বছরের মাল্যের জন্য মুম্বইয়ের আর্থার রোডের সংশোধানাগারটি একেবারেই
অনুপযুক্ত। ৯০০০কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, তিনি বলছেন এইসব
অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রশ্ন তাহলে তিনি তড়িঘড়ি দেশ ছেড়েছিলেন কেন রাতের অন্ধকারে। যে
ব্যক্তি দেশকে পথে বসিয়ে চলে যান, তাঁর যে ‘রাতের ঘুমের সমস্যা’ থাকবে – তা কি
স্বাভাবিক নয় ? মাল্যের মামলার শুনানির সাথে সাথে উঠে এসেছে এদেশের কলকাতা,
দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই জেলের অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির কথা, বিচারব্যবস্থার
নিরপেক্ষতার প্রশ্ন – এইসব প্রশ্নের মধ্যেই একটি কথা কেবলই মনে হয় – শাস্তি হবে তো
?